রবিবার, ৯ নভেম্বর
ভয় করিও না।—দানি. ১০:১৯.
কীভাবে আমরা সাহসী হতে পারি? আমাদের বাবা-মা হয়তো বলতে পারে, আমাদের সাহসের সঙ্গে কাজ করতে হবে। কিন্তু, সাহস এমন কোনো বিষয় নয়, যেটা আমরা উত্তরাধিকারসূত্রে লাভ করি। আমাদের নিজেদেরই সাহসী হতে হবে। সত্যি বলতে কী, সাহসী হওয়া কোনো একটা নতুন দক্ষতা শেখার মতো। কোনো নতুন দক্ষতা শেখার একটা উপায় হল, আমরা যেন শিক্ষককে মনোযোগ দিয়ে লক্ষ করি আর তিনি যেভাবে করেন, ঠিক সেভাবেই করার চেষ্টা করি। একইভাবে, সাহসী হওয়ার জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ যেন আমরা লক্ষ করি যে, অন্যেরা কীভাবে সাহসের সঙ্গে কাজ করছে এবং তাদের মতো হওয়ার চেষ্টা করি। দানিয়েলের মতো আমাদের ঈশ্বরের বাক্যে লেখা কথাগুলো ভালোভাবে বুঝতে হবে। আমাদের যিহোবার কাছে মন খুলে এবং ক্রমাগত প্রার্থনা করতে হবে। এভাবে তাঁর সঙ্গে একটা দৃঢ় সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। আমাদের যিহোবার উপর আস্থা রাখতে হবে আর পুরোপুরিভাবে নিশ্চিত হতে হবে যে, তিনি সবসময় আমাদের সঙ্গে থাকবেন, কখনোই আমাদের একা ছেড়ে দেবেন না। এরপর, আমাদের বিশ্বাস যখনই পরীক্ষিত হবে, তখনই আমরা সাহসের সঙ্গে কাজ করতে পারব। যারা সাহসের সঙ্গে কাজ করে, লোকেরা প্রায়ই তাদের সম্মান করে। তাদের কারণে হয়তো সৎহৃদয়ের ব্যক্তিরা যিহোবা সম্বন্ধে জানতে চাইবে। তাই, এসো আমরা সবাই সাহসী হওয়ার জন্য প্রচেষ্টা করি। প্রহরীদুর্গ ২৩.০৮ ২ অনু. ২; ৪ অনু. ৮-৯
সোমবার, ১০ নভেম্বর
সমস্ত কিছু পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে নাও।—১ থিষল. ৫:২১.
এই শাস্ত্রপদে যে-গ্রিক শব্দকে “পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে নাও” হিসেবে অনুবাদ করা হয়েছে, সেটা সেই সময়ে ব্যবহার করা হত, যখন সোনা ও রুপোর মতো ধাতুগুলো পরীক্ষা করার বিষয়ে বলা হত। আজ আমরা যখন কিছু শুনি অথবা পড়ি, তখন আমাদের সেগুলো পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া উচিত যে, সেগুলো সঠিক কি না। মহাক্লেশ যত এগিয়ে আসছে, আমাদের জন্য এমনটা করা আরও জরুরি হয়ে যাচ্ছে। তাই, অন্যদের কথায় চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করার পরিবর্তে, আমাদের ভেবে-চিন্তে কাজ করা উচিত। আর নিশ্চিত হওয়া উচিত যে, সেই কথাগুলো বাইবেল অনুযায়ী অথবা যিহোবার সংগঠন যা বলেছে, সেই অনুযায়ী সঠিক কি না। আমরা যখন তা করব, তখন আমরা মন্দ স্বর্গদূতদের কথায় কান দেব না। (হিতো. ১৪:১৫; ১ তীম. ৪:১) একটা দল হিসেবে ঈশ্বরের লোকদের মহাক্লেশ থেকে রক্ষা করা হবে। কিন্তু, আমরা কেউই জানি না, আগামীকাল আমাদের প্রতি কী ঘটবে। (যাকোব ৪:১৪) আমরা হয়তো মহাক্লেশের আগেই মারা যেতে পারি অথবা মহাক্লেশ পার হয়ে যেতে পারি। কিন্তু, একটা বিষয়ে আমরা নিশ্চিত থাকতে পারি: আমরা যদি যিহোবার প্রতি অনুগত থাকি, তা হলে তিনি আমাদের অবশ্যই অনন্তজীবন দেবেন। আমাদের প্রত্যাশা যা-ই হোক না কেন, আমরা যেন সবাই সেটার উপর মনোযোগ দিই এবং যিহোবার দিনের জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকি। প্রহরীদুর্গ ২৩.০৬ ১৩ অনু. ১৫-১৬
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর
প্রভু সদাপ্রভু আপনার দাস ভাববাদিগণের নিকটে আপন গূঢ় মন্ত্রণা প্রকাশ . . . করেন।—আমোষ ৩:৭.
আমরা এটা জানি না, বাইবেলের কিছু ভবিষ্যদ্বাণী কীভাবে পরিপূর্ণ হবে। (দানি. ১২:৮, ৯) তবে, আমরা যদি কোনো ভবিষ্যদ্বাণীর অর্থ পুরোপুরিভাবে বুঝতে না পারি, তা হলে এর মানে এই নয় যে, সেই ভবিষ্যদ্বাণী কখনো পরিপূর্ণ হবে না। আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত থাকতে পারি, আমাদের জন্য যেটা জানা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা যিহোবা একেবারে সঠিক সময়ে আমাদের জানাবেন, ঠিক যেমনটা তিনি অতীতে করেছিলেন। জগতের সরকারগুলো “শান্তি ও নিরাপত্তা” ঘোষণা করবে। (১ থিষল. ৫:৩) এরপর, সরকারগুলো মিথ্যা ধর্মগুলোর উপর আক্রমণ করবে এবং সেগুলোকে ধ্বংস করে দেবে। (প্রকা. ১৭:১৬, ১৭) তারপর, সেই সরকারগুলো ঈশ্বরের লোকদের উপর আক্রমণ করবে। (যিহি. ৩৮:১৮, ১৯) তখন আরমাগিদোনের যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। (প্রকা. ১৬:১৪, ১৬) আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত থাকতে পারি, এই ঘটনাগুলো খুব শীঘ্রই ঘটবে। এই ঘটনাগুলোর বিষয়ে ঈশ্বর যিহোবা তাঁর বাক্য বাইবেলে যা লিখিয়েছেন, সেগুলোর জন্য আমরা কি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ নই? তাই, যতক্ষণ পর্যন্ত না এই ভবিষ্যদ্বাণীগুলো পরিপূর্ণ হচ্ছে, আমরা যেন এগুলো নিয়ে অধ্যয়ন করে চলি আর অন্যদেরও তা করতে সাহায্য করি। প্রহরীদুর্গ ২৩.০৮ ১৩ অনু. ১৯-২০